বেলডাঙ্গা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সায়ন হালদার
মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় এ বছর কার্তিক পুজোর দিন ঘটে এক নেক্কারজনক জনক ঘটনা। ঘটনার জেরে গোটা মুশিদাবাদ জেলায় ৬ দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল।
ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুজো কমিটির চারজন পদাধিকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও তাঁরা প্রত্যকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অবশেষে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সায়ন হালদারকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। পুলিশের এই বিরাট সাফল্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে শান্তিসেতুকে এক পুলিশ কর্তা বলেন, “অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সহজ কাজ ছিল না। ডিজিটাল বোর্ডটি ছিল একটি চিনা কোম্পানির তৈরি। সেই কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে বোর্ডে লেখা হয় এবং লেখা পরিবর্তন করা যায়। রাজ্য পুলিশের আইটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞরা ব্যর্থ হলে প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় সেই ডিজিটাল বোর্ডের প্রস্তুতকারক চিনা সংস্থাটির সঙ্গে। দিল্লি থেকে তাদের প্রযুক্তিবিদকে পাঠায় সংস্থা। বিশেষজ্ঞ এসে ঘটনার দিন পর্যন্ত কোন কোন দিনে কোন কোন ডিভাইস থেকে লাইটটি অপারেট করা হয়েছিল সেই তথ্য উদ্ধার করেন। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা যায়, ১৬ নভেম্বর সন্ধে ৭টা ২৫ থেকে ৭টা ৩৫ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সায়ন তার মোবাইল থেকে অপকর্মটি ঘটিয়েছে্ন।
সায়ন হালদার টেকনিক্যাল বিষয়ে যথেষ্টই পারদর্শী। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “অভিযুক্ত এই অপকর্মটি করার সময় নিজের মোবাইল ফ্লাইট মোডে রেখে ওয়াইফাই ব্যবহার করেছিল। ফলে বহু কষ্ট করে তার মোবাইল আইপি সনাক্ত করা যায়। এরপর সিমের অনুসন্ধান করে অভিযুক্তের পরিচয় বের করা হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে মোট পাঁচটি সিম উদ্ধার করে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
এমন একটি কেসে অভিযুক্তকে সনাক্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম, সারা ভারতে দ্বিতীয়। এর আগে মহারাষ্ট্রে ডিজিটাল লাইট বোর্ডে লেখা পরিবর্তন করার অপরাধে অভিযুক্তকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছিল। ধৃত সায়ন হালদারের পেছনে বড় কোনও মাথা ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
তথ্যসূত্র: ShantiSetu শান্তিসেতু