কান্দি থানায় বাজলো বিয়ের সানাই! ‘অনাথ’ সারজিনাকে সম্প্রদান করলেন থানার বড়বাবু!

কান্দি থানায় বাজলো বিয়ের সানাই!
‘অনাথ’ সারজিনাকে সম্প্রদান করলেন থানার বড়বাবু!

মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার সুরখালি গ্রামের বাসিন্দা সারজিনা খাতুন। চার বছর বয়সে হারায় মাকে। তার পর থেকে বাবা ভিক্ষে করে সংসার চালাতেন। বছর তিনেক আগে বাবাও মারা যান। মা-বাবা হারা সারজিনা নিজের পিসির বাড়িতেই থাকতেন। সুন্দরপুরের এক যুবকের সঙ্গে সারজিনার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে ঠিক হলেও অর্থের অভাবে তাঁর পরিবারের লোকজন বিয়ের আয়োজন করতে পারছিলেন না। গ্রামবাসীরা বিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন।
তখনই ঘটনার কথা স্থানীয় পুলিশের মুখ থেকে শুনতে পান কান্দি থানার বড়বাবু মৃণাল সিনহা। আর এরপরেই বিয়ের সমস্ত দ্বায়িত্ব বহন করলেন নিজের কাঁধে। অনাথ সারজিনাকে সম্প্রদান করলেন নিজেই।
মুর্শিদাবাদের কান্দি থানায় এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আই সি মৃণাল সিনহা। অনাথ মেয়ে সারজিনা খাতুনের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনে তিনি পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করলেন, পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বই নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রতিও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এক অনাথ মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি এক অসাধারণ মানবিক উদ্যোগ। যেখানে সমাজের অনেকে পিছিয়ে থাকে, সেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে এসে আশ্রয়হীন মেয়েটির পাশে দাঁড়ালেন। কান্দি থানায় বিয়ের আসর বসিয়ে তিনি সমাজের কাছে এক অনুপ্রেরণার বার্তা পৌঁছে দিলেন—
পুলিশ মানে শুধু কঠোরতা নয়, হৃদয়ের উষ্ণতাও।